এবার ডিম নিয়ে কারসাজি হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত ডিম ব্যবসায়ী সমিতির অসাধু সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়িয়েছে। তারা পাইকারি পর্যায়েই ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বেশি দাম নিচ্ছে।

অবৈধভাবে এ দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে ডিম ব্যবসায়ী সমিতি। ফলে খুচরা পর্যায়ে দাম মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এ ক্ষেত্রেও অজুহাত হিসাবে দেখানো হয়েছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি।

খোদ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এর সঙ্গে ডিম ব্যবসায়ী সমিতি জড়িত। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ডিমের বিভিন্ন আড়তে সরকারিভাবে অভিযান চালানো হয়।

এর আগে বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে ডিম আমদানি করা হবে। তার এমন ঘোষণার পরই পাইকারী বাজারে ডিমের দাম কমতে থাকে। এরপর বৃহস্পতিবার বিভিন্ন আড়তে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার। সরকারের এমন কঠোর পদক্ষেপে একদিনেই পাইকারি পর্যায়ে ডিমের দাম ডজনে ২০ টাকা কমে আসে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা পর্যায়েও। হালিতে কমেছে পাঁচ থেকে সাত টাকা।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জব্বার মন্ডলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার কথা হয়। তিনি বলেন, ডিমের বাজারে কারসাজির সঙ্গে ডিম ব্যবসায়ীরা জড়িত। পাইকারি ব্যবসায়ীরা কেনা দামের পর প্রত্যক্ষ খরচ যোগ করে তার সঙ্গে শতকরা ১৫ ভাগ লাভ করতে পারবে।

খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য এই হার ২৫ ভাগ। অথচ কারসাজি করে ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ লাভ করছে শুধু পাইকাররা। অবৈধভাবে এ দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে ডিম ব্যবসায়ী সমিতি। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার তারা তেজগাঁও ডিমের আড়ৎ ও কাওরান বাজারে অভিযান চালিয়েছেন।

এতে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়ায় হিমালয় ট্রেডার্স, জনতা মা মনি আড়তকে ২০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি কাওরান বাজারে সততা মুরগির আড়তকে ২০ হাজার টাকা ও আলহাজ অ্যান্টারপ্রাইজকে ১০ হাজার টাকাসহ চার প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।